বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে মেঘনা নদীতে ডুবে যাওয়া ট্যাংকার থেকে তেল নিসৃত হচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদশে অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন সংস্থা- বিআইডব্লিউটিসি।
৭ লাখ লিটার পেট্রোল ও ডিজেল নিয়ে তেল বিপণনকারী সংস্থা যমুনার বরিশাল ডিপোতে যাওয়ার সময় বুধবার রাতে গোবিন্দপুরের কালিগঞ্জ এলাকায় দুর্ঘটনায় পড়ে এমটি মেহেরজান নামের ট্যাংকারটি। ফজলুল হক-৩ নামের একটি কার্গোর ধাক্কায় সেটি মাঝনদীতে ডুবে যায়।
স্থানীয় জেলেরা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে ডুবে যাওয়া মেহেরজান থেকে বুদবুদ আকারে তেল ভেসে উঠতে শুরু করে। শুক্রবার সকালে আশেপাশের এলাকায় পানির ওপরে তেল ভাসতে দেখা যায়।
পরিবেশবাদীরা বলছেন, তেল নিঃসরণ বন্ধ করা সম্ভব না হলে মেঘনাসহ আশেপাশের নদ-নদীতে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয় ঘটতে পারে। মাছ ও জলজ প্রাণীসহ নদী তীরবর্তী ফসলের মাঠ ও গাছপালারও ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে।
এই পরিবেশ বিপর্যয় রোধ করতে দেড়শ ফুট পানির নিচে ডুবে থাকা ট্যাংকারের তেল পাইপের মাধ্যমে বের করে আনার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন বলে মনে করেন বিআইডব্লিউটিসির বরিশাল অঞ্চলের উপ-পরিচালক হাফিজুর রহমান।
তিনি বলেন, “এমটি মেহেরজানে জ্বালানি তেল আছে ৬১০ টন। ট্যাংকারের ওজনও প্রায় ২০০ টন। ফলে ৬০ টন ক্ষমতার উদ্ধারকারী জাহাজ ‘হামজা’ দিয়ে এই ট্যাংকার তোলা কঠিন।”
অন্য কোনো উপায়ে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ডুবে যাওয়া ট্যাংকারের তেল পাইপের মাধ্যমে বের করার ব্যবস্থা নিলে পরিবেশের ক্ষতি কিছুটা হলেও কমানো যেতে পারে”, বলেন তিনি।
স্থানীয় জেলেরা জানান, তেলবাহী ট্যাংকার ডুবে যাওয়ার স্থানটি চিহ্নিত করে বয়া রেখে এসেছে বিআইডব্লিউটিসির কর্মীরা। তবে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়নি।
এদিকে ট্যাংকারের কর্মী মো. নিজাম উদ্দিন (৩৮) দুর্ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ রয়েছেন।
মেহেন্দিগঞ্জ থানার ওসি রিয়াজ হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার দিনভর নদীতে তল্লাশি চালিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
দুর্ঘটনার পরপরই ফজলুল হক-৩ নামের কার্গোটি ফেলে এর মাস্টার ও সুকানি পালিয়ে যায়। বর্তমানে ট্যাংকার এমটি মেহেরজানের কর্মীরা ওই কার্গোতে অবস্থান করছেন। দুজন পুলিশ সদস্যকেও সেখানে রাখা হয়েছে বলে ওসি জানান।