বার্তা ৭১ ডট কমঃ মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর হত্যা-নির্যাতন ও ধর্ষণের বিষয়ে নীরবতার কারণে দেশটির বিরোধীদলীয় নেত্রী অং সান সু চি ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন। শান্তিতে নোবেল বিজয়ী সু চি মুসলিম গণহত্যার বিষয়ে কোনো কথা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
নোবেল পুরস্কার গ্রহণের কয়েক দিন পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অং সান সু চি বলেছেন, রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক কিনা সে বিষয়ে তিনি জানেন না। নিজ দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে সু চির এমন নীরবতায় তার সমর্থকরাও ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন।
মানবাধিকার সংগঠন ‘বার্মা ক্যাম্পেইন ইউকে’র নির্বাহী পরিচালক আন্না রবার্টস বলেছেন, সু চি জোরালো কোনো বক্তব্য না দেয়ায় জনগণ হতাশ হচ্ছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ব্রাড অ্যাডামস বলেছেন, সু চি রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভালো কিছু বলার সুযোগ হাতছাড়া করেছেন।
লন্ডন, ডাবলিন, প্যারিস ও অসলোতে সু চির সাম্প্রতিক সফরের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, সু চি ইউরোপ সফরে গিয়েও এ বিষয়ে কোনো কথা বলেননি, যা ছিল বড় ধরনের আঘাত।
মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট জেনারেল থেইন সেইন আট লাখ রোহিঙ্গা মুসলমানকে সেদেশ থেকে বহিষ্কারের ইঙ্গিত দেয়ার পরও সু চি এর বিরুদ্ধে কোনো কথা বলেননি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আগামী ২০১৫ সালে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে বিজয়ের আশা করছে সু চির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসি।
এ অবস্থায় সংখ্যালঘু মুসলমানদের ওপর নির্যাতনের বিষয়ে কথা না বলাকে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার জন্য মঙ্গলজনক মনে করছেন সু চি। তবে মানবাধিকারের প্রকৃত কোনো সমর্থক কখনোই মুসলমানদের ওপর চলমান হত্যা-নির্যাতনের বিষয়ে নীরব থাকতে পারে না বলে বিশ্লেষকদের অভিমত।