আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে সম্পৃক্ত করতে সরকার জামায়াতে ইসলামীকে পক্ষে টানার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন খালেদা জিয়া।
শনিবার রামুর খিজারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিএনপি আয়োজিত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সমাবেশে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগকে কখনো বিশ্বাস করা যায় না। তারা বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে কথা বলে। অথচ ১৯৯৬ সালে তারাই জামায়াতকে সাথে নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়েছিল।”
“এখন আওয়ামী লীগ তলে তলে জামায়াতকে পক্ষে আনার চেষ্টা করছে”, বলেন খালেদা।
তবে ১৮ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলামীর ওপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন বিএনপি চেয়ারপার্সন।
তিনি বলেন, “জামায়াত শক্ত অবস্থানে আছে। ঠিক আছে।”
খালেদ জিয়ার অভিযোগ, কোনো ঘটনা ঘটলেই সব দোষ বিএনপি ও জামায়াতসহ বিরোধী দলের ওপর চাপানোর চেষ্টা চালায় সরকার।
কোরআনের অবমাননার অভিযোগে গত ২৯ ও ৩০ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের রামু, উখিয়া, টেকনাফ ও চট্টগ্রামের পটিয়ায় বৌদ্ধ বসতি ও মন্দিরে ব্যাপক তাণ্ডব চালায় উগ্রপন্থীরা। ওই ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রামু সফর করে সাংসদ কাজলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তখনকার প্রধানমন্ত্রী খালেদা বলেন, “ওই সময়ে তিনি (শেখ হাসিনা) নিজামী সাহেবের সঙ্গে বসে আন্দোলনের কর্মসূচি ঠিক করতেন। এখন তারা রাজাকার হয়ে গেছেন।”
‘স্বৈরাচার এরশাদের’ শাসনামলেও জামায়াতের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সখ্যতা ছিল বলে মন্তব্য করেন বিরোধী দলীয় নেতা।