ঢাকা: যুদ্ধাপরাধের বিচারে কোনো ধরনের বাড়াবাড়ি না করার আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,যুদ্ধাপরাধের বিচারে কোনো ধরনের ছাড় দেয়া হবে না, প্রয়োজনে বিরোধিতাকারীদের বিরুদ্ধে শরিয়া আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শুক্রবার গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বেশি বাড়াবাড়ি করলে বিকল্প পথ আমাদের জানা আছে। কী করতে হবে তা আমাদের জানা আছে। দরকার হলে শরিয়া আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে; কিয়াস তো আছেই।”
সম্প্রতি পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা তুলে ধরে জামায়াতে ইসলামীসহ বিরোধীদলকে এসব কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
“বিরোধীদলীয় নেত্রীসহ সকলকে আমি এসব কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই। পরাজিত শক্তির দোসররা জনগণের ভাগ্য নিয়ে খেলা করবে, তা কোনদিন বরদাস্ত করা হবে না।”
“এগুলো করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করতে পারবেন না। যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে পারবেন না। বিচার হবেই। যত বাড়াবাড়ি করবে তত দ্রুত বিচার হবে”, যোগ করেন তিনি।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার যে কোনো অপতৎপরতার বিষয়ে দেশবাসীকে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।
শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সন্ধ্যা ৬টার দিকে এই বৈঠক শুরু হয়।
যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার শীর্ষ নেতাদের মুক্তি দাবিতে গত ৫ নভেম্বর মতিঝিলে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। তারপর থেকে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন স্থানে জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে পুলিশের সংঘাত চলছে।
পুলিশের ওপর চড়াও হওয়ার পাশাপাশি মঙ্গলবার আইনমন্ত্রীর গাড়িবহরেও হামলা চালায় ইসলামী ছাত্রশিবির।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বরাবরাই এসব ঘটনার পেছনে বিএনপির ইন্ধন রয়েছে অভিযোগ করে আসছে।