ঢাকা: নিউইয়র্কে গ্রেফতার বাংলাদেশি তরুণ কাজী রেজওয়ানুল আহসান নাফিস কূটনীতিক সহায়তার সহায়তার প্রস্তাব দেয়া হয় জানিয়ে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনা বলেন, বাংলাদেশি এই যুবক তা প্রত্যাখ্যান করে।
শনিবার সাভারের সিআরপিতে ড্যান মজিনা সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন।
গত ১৭ অক্টোবর কথিত ‘স্টিং অপারেশনের’ মাধ্যমে নাফিসকে গ্রেপ্তার করে নিউ ইয়র্ক পুলিশ ও এফবিআই।
তারা জানায়, এই বাংলাদেশি যুবক এক হাজার পাউন্ড বিস্ফোরক দিয়ে ফেডারেল রিজার্ভ ভবন উড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করেছিল, কিন্তু তার ভ্যানে সত্যিকারের বিস্ফোরক না থাকায় সেটি আর ফাটেনি।
গত ১৬ নভেম্বর ব্রুকলিনের একটি আদালত নাফিসকে অভিযুক্ত করে। দোষী সাব্যস্ত হলে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। ২১ বছর বয়সী নাফিসকে রাখা হয়েছে ব্রুকলিনের কারাগারে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে স্টুডেন্ট ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পর দক্ষিণ-পূর্ব মিসৌরীর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন নাফিস। কিন্তু সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে ওই কোর্স শেষ না করেই জুনের শেষ সপ্তাহে নিউ ইয়র্কে একটি টেকনিক্যাল কলেজে ভর্তি হন তিনি।
ড্যান মজিনা জানান, তিনি নাফিসের বিষয়টির দিকে নজর রাখছেন। “বিচার প্রক্রিয়া আমাদের আইন অনুসারেই হবে, সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত।”
এদিকে বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য রাজনীতিকরা শিগগিরই একটি উপায় খুঁজে বের করবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
সম্প্রতি মার্কিন দূতাবাস থেকে দেয়া একটি বিবৃতি সম্পর্কে তিনি বলেন, “সহিংসতা গ্রহণযোগ্য নয় এবং আমাদের বিবৃতিতে আমরা তা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি। আমি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপে বিশ্বাস করি।”
ঢাকাসহ পুলিশের সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের সহিংসতা নিয়ে মার্কিন দূতাবাসের দেয়া বিবৃতি প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, সহিংসতা গ্রহণযোগ্য নয় এবং আমাদের বিবৃতিতে আমরা তা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি। আমি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপে বিশ্বাস করি। আমি আদর্শ প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী এবং সব দলেরই তাদের মতপ্রকাশের অধিকার রয়েছে। তবে তা সহিংসতার মাধ্যমে নয়।
রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, “আমি আদর্শ প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী এবং সব দলেরই তাদের মত প্রকাশের অধিকার রয়েছে। তবে তা সহিংসতার মাধ্যমে নয়।”