জামায়াত-শিবিরকে প্রতিহত করতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বানের তীব্র সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল।
তিনি বলেন, জামায়াত-শিবিরকে প্রতিহত করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও প্রশাসন রয়েছে। সেখানে ছাত্রলীগ ও যুবলীগকে জামায়াত শিবির প্রতিহত করতে বলে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির আহ্বান করা হয়েছে।
শুক্রবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বঙ্গবন্ধু একাডেমী আয়োজিত ‘আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য মরহুম আখতারুজ্জামান বাবুর স্মরণ সভা ও জামায়াত-শিবিরের চোরাগোপ্তা হামলার প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
আবদুল জলিল বলেন, মন্ত্রীরা অতি কথন বলেন। প্রশাসন থাকতে এভাবে কাউকে কল (ডাক দেয়া) করাটা রাজনৈতিক বিবেচনায় গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। জামায়াত-শিবিরকে পুলিশ প্রশাসন দিয়ে প্রতিহত করতে হবে।
এ সময় তিনি ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে নয় বরং মানুষের কাছে গিয়ে গণজাগরণ সৃষ্টি করে তাদের প্রতিহত করতে হবে। মানুষকে সচেতন করতে হবে।
খালেদা জিয়া তারেকের মত একজন দুর্নীতিবাজের প্রশংসা করলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে না উল্লেখ করে জলিল বলেন, তারেকের দুর্নীতি ও খালেদা সরকারের হাওয়া ভবন সর্ম্পকে জনগণ জানে। খালেদা জিয়া যতই বলুক না কেন তা জনগণ গ্রহণ করবে না। বিএনপি’র অতীত কর্মকান্ড ও বর্তমান সরকারের সফলতার কথা বিবেচনা করে কাকে সুযোগ দিবে সে বিষয়ে স্বিদ্ধান্ত নিবেন।’
তারেক দুর্নীতির মামলার গ্রেফতার এড়াতে যুক্তরাজ্যে পালিয়ে বেড়াচ্ছে উল্লেখ করে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়া তারেককে যতই সৎ বলুক না কেন। যখনই তিনি সততার সার্টিফিকেট দেন জনগণের মনে পড়ে যায় আলী বাবার ৪০ চোর আর হাওয়া ভবনের কথা।
মির্জা ফখরুলের সমালোচনা করে তিনি বলেন, জামায়াত-শিবিরের চোরাগোপ্তা হামলা আর পুলিশের অস্ত্র কেড়ে নেয়াকে গণতান্ত্রিক অধিকার মনে করেন মির্জা ফখরুল। এটা জাতির জন্য লজ্জাকর।
বঙ্গবন্ধু একাডেমীর উপদেষ্টা লায়ন মজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোজাফফর হোসেন পল্টু, মহানগর আ’লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ফয়েজউদ্দিন মিয়া প্রমুখ।