ঢাকা, ৫ ডিসেম্বর: ৪ উইকেটে জয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের। এ জয়ের ফলে সিরিজে টিকে রইল তারা। এর আগে খুলনায় পর পর দু ম্যাচে জিতে ২-১ এ এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। তবে ম্যাচে বাংলাদেশ তার ব্যাটিং ও ফিল্ডিংয়ে বেশ বাজে অবস্থার প্রদর্শণ করে। এই জয়ের ফলে বাংলাদেশের রখ জয়ের থামাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
২২৮ রানের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমে ভংঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই গেইল আউট। মাশরাফির বলে উইকেটের পেছেনে ক্যাচ দিয়ে চার রান করে আউট হন তিনি। জয়ের পাশাপাশি আরেক প্রাপ্তি ক্যারিবিয়াদের স্যামুয়েলসের অসাধারণ এক সেঞ্চুরী। তবে জয়ের কাছাকাছি থাকা অবস্থায় মাশরাফির বলে ক্যাচ দিয়ে ১২৫ রান করে আউট হন। দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে যখন ৪৭ রানে মুশফিকের হাতে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন পাওয়েল। আর তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটে ব্রাভো ১৩ রানে সোহাগ গাজীর বলে নাইম ইসলামের বলে আউট হলে। চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটে স্মিথ ৪ রানে আবদুল রাজ্জেকর বলে নাইম ইসলামের হাতে ক্যাচ দিলে। পঞ্চম উইকেট হিসেবে পোলার্ড ১ রানে আব্দুল রাজ্জাকের বলে আউট হন। শেষ উইকেটে হিসেবে স্যামুয়েলস যখন আউট হন তখন বাংলাদেশের কোন আশা ছিল না, তবে এই স্যামুয়েলসকে যদি আগেই আউট করা যেত তাহলে বোধ হয় দৃষ্ট্যপটতা ভিন্ন হতে পারত।
এর আগে দুপুরে টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাট করতে পাঠায়। এবং শুরুতেই বিপর্যয় পড়ে বাংলাদেশ। কিন্তু দলপতি মুশফিক আর মাহমুদুল্লাহ অর্ধশত রানের জুটি খাদের কিনারা থেকে টেনে তোলে দলকে। পরে মুশফিকের বিদায়ের পর মাহমুদুল্লার অর্ধশতক সেই এগিয়ে যাওয়ার ধারায় গতি আনে। সর্বশেষে ৪৯.১ ওভারে বাংলাদেশে সংগ্রহ গিয়ে দাঁড়ায় ২২৭ রানে। এজন্য তারা হারায় সবকটি উইকেট।
সিরিজ জয়ের স্বপ্ন নিয়ে খেলতে নামা বাংলাদেশকে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়তে হয়েছে। কিন্তু এর মাঝেও অনবদ্য ও দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে অর্ধশতের কোটা ছুঁয়েছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। কিন্তুর এরপর এক ওভারের ব্যবধানে স্মিথের বলে সামির হাতে ক্যাচ দিয়ে ৫২ রানে আউট হন তিনি। এর পর আর বেশিক্ষণ মাঠে থাকতে পারেনি ব্যাটসম্যানরা। সকল ব্যাটম্যানরাই আসা যাওয়ার মধ্যেই ছিলেন।
শুরুতে স্পিনার নারিনের বলে থমাসের হাতে ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়েন তামিম ইকবাল (২২)। পরে দুই বল খেলে বোলার নারিনের বলে পোলাডের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন নাঈম ইসলাম (৪)। তার পরই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন আনামুল হক (৩৩)। এবারও উইকেট তোলেন বোলার নারিন। আউট হওয়ার আগে বলটি নো হওয়ার কারণে বেঁচে গেলেও পরে বলে এলভিডব্লিওর ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন তিনি। এর পর মাঠে নামেন নাসির। কিন্তু সেও টিকতে পারেননি ক্যারিবিয়দের বোলিং তোপে। স্পিনার পারমলের বলে পোলাডের হাতে ক্যাচ তুলে ৬ রানে আউট হন তিনি এবং মমিনুল হক (১২) আউট হয়। ধ্বংসস্তুপ থেকে দলকে কিছুটা টেনে তুললেও ব্যক্তিগত ৩৮ রানে পারমলের বলে স্যামির হাতে ক্যাচ হয়ে মাঠ ছাড়েন মুশফিকুর রহিম। পরে দিনের সফল বোলার স্পিনার নারিনের বলে স্টাম্পিংয়ের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন মাশরাফি। ১১ বল খেললেও রানে খাতা খুলতে পারেন নি তিনি। পরে স্মিথের বলে গেইলের ক্যাচের পরিণত হয়ে আউট হন সোহাগ গাজী (৩০), আব্দুর রাজ্জাক ব্রাভোর বলে ৩ রানে আউট হন।
এর আগে টসে জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক ড্যারন স্যামি প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। আজকের ম্যাচে জয় নিয়ে সিরিজ নিজেদের ঘরে তুলতে মরিয়া টাইগাররা।
অন্যদিকে আজকের ম্যাচ জিতে সিরিজে ফেরার স্বপ্ন দেখছে ক্যারিবীয়রা। দুপুর আড়াইটায় মিরপুরের শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে দিবারাত্রির এ ম্যাচ শুরু হয়।
খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে প্রথম দুই ম্যাচ জিতে ইতোমধ্যে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে মুশফিকুরের দল।