দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করে দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে না দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
সোমবার রাতে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে গ্রেফতার ও যুগ্ম মহাসচিব রুহল কবীর রিজভীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি এ বিবৃতি দেন।
তিনি বলেন, আমি পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, জুলুম-পীড়ন করে জনগণের ন্যায্য অধিকার ও দাবিকে কখনো নস্যাৎ করা যায় না। আমি সংঘাতময় পরিস্থিতির দিকে দেশকে ঠেলে না দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
বিরোধীদলীয় নেতার প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে খালেদা বলেন, আমার সঙ্গে বাংলাদেশ সফররত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রবার্ট ও’ ব্লেকের পূর্বনির্ধারিত বৈঠকে যোগদানের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়ার সময় মির্জা ফখরুলকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে।
তিনি দলের মহাসচিবের গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, দেশ পরিচালনায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ সরকার গণতন্ত্রের নাম-নিশানা মুছে ফেলতে বর্তমানে নগ্ন ফ্যাসিবাদী চেহারায় আবির্ভূত হয়েছে। তারা খুন, গুম, হামলা, জুলুম, নির্যাতন, চক্রান্ত, গ্রেফতার ও মিথ্যাচারের মাধ্যমে বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন, ভিন্নমত দমন এবং দেশবাসীকে ভয় দেখিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাইছে।
মঙ্গলবারের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল সফল করতে বিএনপি চেয়ারপারসন দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, দেশবাসীর প্রতি আমার আহ্বান, অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর ন্যায়সঙ্গত অধিকার আপনাদের আছে। তাই সব অন্যায়ের প্রতিবাদ জানাতে এবং নিজেদের অধিকার আদায় করতে এই বিজয়ের মাসে সোচ্চার হোন।
খালেদা অভিযোগ করেন, ফ্যাসিবাদী সরকার ক্ষমতায় থেকে একটি কারচুপির নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়ার অসদুদ্দেশ্যে নির্বাচনকালীন নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দিয়েছে। বিরোধী দল যখন জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের ভোটাধিকার রক্ষায় আন্দোলনের সূচনা করেছে, তখন ‘স্বৈরাচারী’ ভূমিকায় আবির্ভূত হয়ে সরকার ‘মিথ্যাচার, ষড়যন্ত্র ও চরম দমন-পীড়নের’ পথ বেছে নিয়েছে।