বার্তা৭১ ডটকমঃ ১ জানুয়ারি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) প্রথম থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত বাংলা ও ইংরেজী ভার্সনের সকল শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দিবে।
এনসিটিবি’র নতুন কারিকুলামে তৈরি ২০১৩ শিক্ষাবষের্র প্রাথমিক, মাধ্যমিক, ইবতেদায়ী, দাখিল ও দাখিল ভোকেশনাল এবং এসএসসি ভোকেশনাল সকল স্তরের পাঠ্যপুস্তকের ৯৫ ভাগ বই ইতোমধ্যে দেশের জেলা-উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।
এ প্রসঙ্গে এনসিটিবি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো: মোস্তফা কামালউদ্দিন জানান, ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলা ও ইংরেজী ভার্সনের প্রাইমারী স্তরের ৯৮ দশমিক ৮৮ ভাগ এবং মাধ্যমিক স্তরের ৯৩ ভাগ বই ইতোমধ্যে উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে গেছে
৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে শতভাগ বই দেশের সব উপজেলায় পৌঁছে যাবে।
তিনি বলেন, বিরোধী দলের ডাকা ঘন ঘন হরতালের কারণেই এবার বই পৌঁছাতে দেরি হয়ে গেছে। তা নাহলে ইতোমধ্যে শতভাগ বই পৌঁছে যেত।
চেয়ারম্যান বলেন, ২০১৩ শিক্ষাবষের্র সকল স্তরের ৩ কোটি ৬৮ লাখ ৮৬ হাজার ১৭২ শিক্ষার্থীর জন্য বিনামূল্যে সরকার এবার সরবরাহ করছে মোট ২৬ কোটি ১৭ লাখ ৭৪ হাজার ৬০৬টি বই।
গত বছর বই সরবরাহের এ সংখ্যা ছিল ২২ কোটি ১০ লাখ ৬৮ হাজার ৩৩৯টি এবং শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩ কোটি ১২ লাখ ১৩ হাজার ৭৫৯ জন।
তিনি বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৫৭ লাখ বেশি এবং আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে সরকার ৬ষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বাংলা ও ইংরেজী গ্রামার এবং রচনা বইও বিনামূল্যে বিতরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় এনসিটিবি’কে অতিরিক্ত আরো ৪ কোটি বই বেশি ছাপতে হয়েছে।
নতুন কারিকুলাম চালু হওয়ায় আগামী বছর শিক্ষার্থীদের হাতে কোন পুরনো বই বা গত বছরের অবশিষ্ট বই তুলে দেয়ার সুযোগ না থাকার পরও বিশাল অংকের বই মূদ্রণের এই কঠিন চ্যালেঞ্জ এনসিটিবি বেশ সাফল্যের সঙ্গেই মোকাবেলা করতে পেরেছে।
তিনি বলেন, এবার প্রাথমিক স্তরের (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন) ২ কোটি ৩১ লাখ ৬৯ হাজার ৩৫১ শিক্ষার্থীর (বিষয় ৩৩টি) জন্য মোট ১০ কোটি ৭৮ লাখ ৬২ হাজার ৭১৪টি বই ছাপা হয়েছে। এর মধ্যে আবার এক তৃতীয়াংশ (৩ কোটি ৩৯ লাখ) অর্থাৎ রঙিন বইগুলোর মূদ্রণের কাজ করেছে ভারতের তিনটি প্রকাশনা সংস্থা।
ভারতের প্রকাশনা সংস্থাগুলোর সকল বই নভেম্বরের মধ্যেই দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।
তিনি বলেন, মাধ্যমিক স্তরের (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন) ৮৫ লাখ ৫৫ হাজার ৯২৮ শিক্ষার্থীর (বিষয় ১১৩টি) জন্য এবার ১১ কোটি ৪৭ লাখ ৮৬ হাজার ৮৩১টি, ইবতেদায়ী স্তরের ২৭ লাখ ৭৯ হাজার ১ জন শিক্ষার্থীর (বিষয় ৩৪টি) জন্য এক কোটি ৭২ লাখ ১ হাজার ৪০টি, দাখিল ও দাখিল ভোকেশনাল স্তরের ২২ লাখ ১২ হাজার ৪৫২ শিক্ষার্থীর (৪৫টি বিষয়) জন্য ২ কোটি ৫ লাখ ৯৫ হাজার ৫৪০টি এবং এসএসসি কারিগরি স্তরের এক লাখ ৬৯ হাজার ৪৪০ শিক্ষার্থীর জন্য ১৩ লাখ ২৮ হাজার ৪৮১টি বই বিনামূল্যে বিতরণের জন্য ছাপা হয়েছে।
তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর জন্য বাধ্যতামূলক ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি’ নতুন বিষয়ের বইটি বেশ চমৎকার ও সহজ পাঠ্য হয়েছে।
এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বেশ সহজেই তথ্য-প্রযুক্তি সম্পর্কে জ্ঞান আহরণ করতে পারবে। অধ্যাপক জাফর ইকবাল ও আইটি বিশেষজ্ঞ মোস্তফা জববার চমৎকারভাবে বইটি সম্পাদনা করেছেন।