ঢাকা, ২৪ ডিসেম্বর , (বার্তা৭১ডটকম) :দুর্নীতি প্রতিরোধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কার্যক্রমকে জোরদার করতে সারা দেশে এর কার্যালয় সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। এ জন্য দেশের প্রতিটি জেলায় দুদকের শাখা কার্যালয় করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে দুদক। এ ছাড়া দুদকের রংপুরের কার্যালয়কে বিভাগীয় কার্যালয়ে উন্নীত করা এবং বগুড়া থেকে রাজশাহী বিভাগের কার্যালয় রাজশাহী মহানগরীতে স্থানান্তরের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। সারা দেশের প্রতিটি কার্যালয়ের শূন্য পদগুলো পূরণ করতে উদ্যোগ নিয়েছে দুদক। দুদক কমিশনার সাহাবুদ্দিন চুপ্পু রোববার এসব তথ্য জানান।
সাহাবুদ্দিন চুপ্পু বলেন, দুদকের কার্যক্রম দিন দিন বাড়ছে। এ জন্য সংস্থাটির কার্যালয় সারা দেশে সম্প্রসারণের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া দুদকের বিভিন্ন কার্যালয়ে থাকা শূন্য পদগুলো পূরণে ইতিমধ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় রাজশাহী বিভাগের কার্যালয়কে বগুড়ায় স্থানান্তর করা হলেও এখন এই বিভাগীয় কার্যালয়টিকে রাজশাহীতে ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ছাড়া রংপুর এখন বিভাগ হিসেবে কার্যক্রম শুরু করায় সেখানকার দুদক কার্যালয়কে বিভাগীয় কার্যালয়ে উন্নীত করা হবে বলেও তিনি জানান।
দুদক সূত্র জানায়, বর্তমানে দুদকের বিভাগীয় কার্যালয় ছয়টি এবং সমন্বিত জেলা কার্যালয় (সজেকা) ২২টি। রংপুরে বিভাগীয় কার্যালয় নেই। সারা দেশে মোট পদ আছে এক হাজার ২৬৪টি। এর মধ্যে কর্মরত আছে ৯০০ জন এবং পদ খালি আছে ৩৬৪টি। দুদকের প্রধান কার্যালয়ে মোট পদ আছে ৫৫৪টি। এতে কর্মরত আছেন ৩৯৯ জন এবং খালি আছে ১৫৫টি পদ। কর্মরতদের মধ্যে দুদক চেয়ারম্যানসহ কমিশনার তিনজন, সচিব একজন, মহাপরিচালক ছয়জন এবং পরিচালক ১৯ জন। বর্তমানে পরিচালক কর্মরত আছেন ৯ জন।
এর মধ্যে ছয়জন বিভাগীয় অফিসে কর্মরত। উপপরিচালক ৮১ জন, এর মধ্যে ৮০ জন কর্মরত আছেন। সহকারী পরিচালকের পদ আছে ১৩৩টি। এর মধ্যে কর্মরত আছেন ৭৯ জন। খালি আছে ৫৪টি পদ। উপসহকারী পরিচালকের পদ আছে ১২৪টি, কর্মরত আছেন ৮৭ জন, খালি আছে ৩৭টি। প্রসিকিউটরের পদ আছে ১০টি। তবে ১০টি পদই শূন্য। তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীর পদ আছে ৪৪৮টি। এর মধ্যে কর্মরত আছেন ৩৫২ জন এবং শূন্য আছে ১৩৬টি পদ। চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীর পদ আছে ৪০৯টি। এর মধ্যে কর্মরত আছেন ৩০০ জন এবং শূন্য আছে ১০৯টি পদ।