ঢাকা, ২৫ ডিসেম্বর (বার্তা৭১ডটকম) : বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার এমদাদুল হককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক তাজুল ইসলাম তাকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের হেফাজতের আবেদন করেন।
শুনানি শেষে মহানগর হাকিম তানবীর আহমেদ সাত দিনের হেফাজত মঞ্জুর করেন বলে জানান সংশ্লিষ্ট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা শেখ রাকিবুর রহমান।
হেফাজতের আবেদনে বলা হয়, বিশ্বজিৎ দাস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরো যারা জড়িত তাদের খোঁজখবর জানতে এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রামদা-চাপাতিসহ অন্যান্য অস্ত্র উদ্ধারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এমদাদুল হককে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতে নেয়া প্রয়োজন।
সোমবার রাত দেড়টার সময় ভারতে পালানোর সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর এলাকার স্বপ্নপুরী রেস্ট হাউস থেকে বিশেষ অভিযান চালিয়ে এমদাদুল হককে (২৬) গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার দুপুর একটায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপকমিশনার (ডিবি) ও ডিএমপি কমিশনারের মুখপাত্র মনিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া ও ফটো সাংবাদিকদের ধারণকৃত ছবি এবং গোয়েন্দা তথ্য-বিশ্লেষণ করে ঘটনায় সরাসরি জড়িতদের শনাক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২০-২১ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে এমদাদও একজন।
তিনি বলেন, ভারতে পালানোর প্রস্তুতি নেয়ার সময়ে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে ডিবি পুলিশ। তাকে গ্রেফতার করতে ডিবি পুলিশ বাড়তি গোয়েন্দা নজরদারি করে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এমদাদ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে সে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত। তাকে রিমান্ড চেয়ে সোমবার আদালতে পাঠানো হচ্ছে।
মনিরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় আরো ৩ জন রিমান্ডে রয়েছে। আর এমদাদকে নিয়ে এ সংখ্যা দাঁড়ালো ৪-এ। উল্লেখ্য, হাইকোর্টে রিটের বিপরীতে দেয়া আদেশের ৫ জনের মধ্যে এমদাদ একজন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন উপকমিশনার (মিডিয়া) হাজী মাসুদুর রহমান ও অতিরিক্ত উপকমিশনার (ডিবি) মো. নুরুন্নবী।
গ্রেফতারকৃত এমদাদ যশোর জেলার শার্শা থানার পাঁচকাইবা গ্রামের মৃত আকরামের ছেলে। সে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১০-১১ সেশনে দর্শনশাস্ত্রে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করে।