ঢাকা : হরতালে সচিবালয়ে হাতবোমা বিস্ফোরণ ও গাড়ি পোড়ানোর মামলায় জামিন ও রিমান্ড আবেদন নাকচ করে দিয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির আহমেদ রিজভীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর হাকিম শাহরিয়ার মাহমুদ আদনান এই আদেশ দেন।
হরতালে সচিবালয়ে হাতবোমা বিস্ফোরণ ও গাড়ি পোড়ানোর দুটি মামলায় গত ৩০ এপ্রিল রিজভীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন তাকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে প্রথম মামলায় ১০ দিন এবং দ্বিতীয় মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশে।
অন্যদিকে রিজভীর আইনজীবীরা তার জামিনের আবেদন করেন। ওইদিন প্রাথমিক শুনানি শেষে আদালত আরো শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন ঠিক করে।
বৃহস্পতিবার আদালত শুনানি শেষে পুলিশের রিমান্ড আবেদন নাকোচের সাথে ও রিজভীর জামিনের আবেদনও খারিজ করে দেয়।
আদেশে বলা হয়, এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক বিপ্লব কুমার শীল চাইলে তিন দিনের মধ্যে কারা ফটকে আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন।
গত ২৯ এপ্রিল হরতালে সচিবালয়ে হাতবোমা বিস্ফোরণ এবং তেজগাঁও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে গাড়িতে আগুন ও ভাঙচুরের মামলায় রাজধানীর শাহবাগ ও তেজগাঁও থানায় দুটি মামলা করে পুলিশ।
এতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও ১৮ দলীয় জোটের প্রায় ৪০ জন কেন্দ্রীয় নেতাকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলা এজাহারভুক্ত আসামি রিজভীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নিখোঁজ বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলীর সন্ধান দাবিতে গত দুই সপ্তাহে পাঁচ দিন হরতাল কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। গত ১৭ এপ্রিল মধ্যরাতে বনানী থেকে গাড়ির চালকসহ নিখোঁজ হন বিএনপির এই নেতা।
এ ঘটনায় বিরোধী দলের অভিযোগ, সরকারি বাহিনীর লোকজন ইলিয়াস আলীকে তুলে নিয়ে গেছে। আর ক্ষমতাসীন দলের দাবি, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার নির্দেশে ইলিয়াস আলী আত্মগোপনে আছেন।