মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন ও ভারতীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জির ঢাকা সফর নির্বিঘ্ন করতে গোটা রাজধানীতে নেয়া হয়েছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা। আর এই নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্বে রয়েছে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ), ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ডিএমপির প্রটেকশন শাখা ও এপিবিএন এর যৌথ টিম। ডিএমপি বলছে, এই নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কাজ করছেন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাড়ে তিন হাজার সদস্য। সফরসময়ে বিদেশি এই দুই ভিভিআইপি থাকবেন হোটেল ওয়েস্টিন এবং হোটেল সোনারগাঁওয়ে। তাই দুই দিন আগে থেকেই এই দুই হোটেল ও তার আশপাশে নিশ্চিত করা হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা।
ভারতের অর্থমন্ত্রী প্রনব মূখার্জীর সার্বিক নিরাপত্তা বাংলাদেশ সরকার দিলেও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে সেদেশের বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী। এমনকি হিলারির চলাচলের গাড়ি থেকে শুরু করে দুই দিনের সফরের সব ধরণের ব্যবহার্য জিনিসপত্র ও খাবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে আগেই নিয়ে আসা হয়েছে। আমেরিকার বিশেষ বাহিনীর পাশাপাশি এদেশের এসএসএফ দ্বিতীয় ধাপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। এরপরে ডিএমপি প্রটেকশন শাখা এবং এপিবিএন যাতায়াতের সময় রাস্তার দুইপাশ ও বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার জাপানের উপ-প্রধানমন্ত্রী কাতসুইয়া ওকাদার বাংলাদেশ সফর সময়ে একই ধরণের ভিভিআইপি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিলো।
ডিএমপি’র বিশেষ নির্দেশে মহানগরীর প্রতিটি থানা বাড়তি নিরাপত্তায় নজর দিয়েছে। বাড়িয়েছে টহল। যাতে কেউ ভিভিআইপিদের অবস্থানের সময় কোনো ধরণের অপরাধ কাজ না করতে পারে। ডিএমপির মিডিয়া ও কমিউনিটি শাখার উপ-পরিদর্শক মাসুদুর রহমান জানান, অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে বাড়তি নিরাপত্তা বলয় ইতোমধ্যেই গড়ে তোলা হয়েছে। শুক্রবার রাত থেকে তল্লাশীও চালানো হবে। তাছাড়া স্বাভাবিকভাবে এধরণের ভিভিআইপিদের সফরসময়ে যে ধরণের পদক্ষেপ নেওয়া হয়ে থাকে এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। সার্বিকভাবে ডিএমপি সর্তক অবস্থানে রয়েছে। যে কোনো সময় যে কোনো সমস্যা মোকাবেলা করার জন্য ডিএমপির প্রস্তুতি রয়েছে বলেও জানান মাসুদুর রহমান।
উল্লেখ, শনিবার বিকেলে ঢাকায় এসে পৌঁছেবেন হিলারী ক্লিনটন এবং রাতে আসবেন প্রনব মূখার্জি।