বার্তা৭১ ডটকমঃ মুক্তিযোদ্ধা আইয়ুব খানের (৬২) আত্মহত্যার ঘটনা তদন্তে ৬ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে মুক্তিযুদ্ধা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিবকে প্রধান করে আজ এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মিজানুর রহমানকে তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে তাকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
আইয়ুব খানের আত্মহত্যার ঘটনায় মন্ত্রণালয়ের সচিবের প্ররোচনার অভিযোগ ওঠায় এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুন বাগিচায় কর্ণফুলী ইন্টারন্যাশনাল হোটেলের ২০৪ নম্বর কক্ষে বিষপাণ করে আত্মহত্যা করেন আইয়ুব খান নামের ওই মুক্তিযোদ্ধা। পরে শাহবাগ থানার এসআই মামুন ফরায়েজী তার লাশ উদ্ধার করেন।
এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ঘটনার সঙ্গে কারও জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে শক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে –
তিনি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ছিলেন। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সংসদের সদস্য সচিব ছিলেন তিনি। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মৃত্যুর আগে আইয়ুব খান ঢাকার জেলা প্রশাসকের বরাবরে চার পৃষ্ঠার একটি চিঠি লিখেছেন। তাতে তিনি লিখেন, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এ হান্নান তাকে বাসা থেকে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছেন। এই অপমান সইতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
বুধবার অবশ্য এই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান সচিব এমএ হান্নান। প্রতিবাদ লিপিতে সচিব এমএ হান্নান বলেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের চট্টগ্রাম (দক্ষিণ) ইউনিট কমান্ডের আহ্বায়ক কমিটি গঠন নিয়ে যে বিষয়টি বলা হয়েছে তাতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। বিষয়টি মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের এখতিয়ারাধীন। তাছাড়া মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সব বীর মুক্তিযোদ্ধার জন্য সবসময় উন্মুক্ত। এখানে প্রবেশের জন্য কোনো পাসের প্রয়োজন হয় না।
তিনি বলেন, বের করে দেয়ার কাজটি যেহেতু এ মন্ত্রণালয়ের কর্মপরিধির মধ্যে পড়ে না বা এটি ব্যক্তি বিশেষের কোনো কাজও নয় সেহেতু এ কাজে সচিবের বাসায় যাওয়া কোনো মতেই বিশ্বাসযোগ্য ঘটনা নয়। তাছাড়া তিনি আমার পূর্ব পরিচিত নন এবং তার সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত পরিচয়ও নেই এবং সে কারণে ব্যক্তিগত আক্রোশ থাকারও প্রশ্ন ওঠে না। কাজেই এ ধরনের সংবাদের প্রতিবাদ জানাই।