বার্তা৭১ ডটকমঃ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ বিরোধী দলের যে সমস্ত নেতাকর্মীরা বিজয়ী হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে তাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্বাচনের অযোগ্য করার ষড়যন্ত্র চলছে।
রবিবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, দেশে নির্বাচন হলে আমরা ক্ষমতায় যেতে পারতাম। সরকার নির্বাচন দেয় নাই। বরং বিরোধী দলের লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে নিয়ে গেছে। তারপরও তাদের মন থেকে ভয় দূর হয় নাই। তারা মনে করে আজ হোক কাল হোক নির্বাচন হবেই। তাই আগামী নির্বাচনে যাদের জয়ী হওয়ার সম্ভবনা আছে তাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্বাচনের অযোগ্য করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আর প্রথম চেষ্টা করা হচ্ছে বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে।
তিনি বলেন, দেশে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক জনগণের সরকার নেই। বর্তমান সরকার আইন অনুযায়ী নির্বাচিত হয় নাই। নিজেরো আর মামারা ভাগাভাগীর সরকার গঠন করেছে। তাই তাদের নিজেদের মধ্যে আইন মেনে চলার প্রবনতা নেই।
সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ বলেছেন সুশাসন প্রতিষ্ঠাতায় আরো মনোযোগি হতে হবে। সরকার ও সরকারের বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে আইন কানুন মেনে চলতে হবে। তার এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশে সুশাসন চলছে না। এখন দেশে আইনের শাসন মানার সংস্কৃতি নেই।
তিনি আরো বলেন, সরকারে একজন কর্মকর্তা বলেছেন, আমরা গাড়িতে আগুন দিয়েছি। অথচ নাশকতার অভিযোগে খালেদা জিয়ার নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। আন্দোলনে নাশকতার কারা অর্থ দিয়েছে সরকার তা জানে। অথচ কারা গাড়িতে পেট্রোল বোমা ও আগুন দিয়ে নাশকতা করেছে তা জানে না। এটা রসিকতা ছাড়া আর কিছু নয়।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, তৎকালীন আওয়ামী লীগ ৩০ হাজার লোককে হত্যা করেছে। হাসানুল হক ইনু এ হত্যার সাথে জড়িত ছিল। এখন তারাই বলছে নাশকতার দায়ে খালেদা জিয়ার বিচার করা হবে। গণবাহিনী ও রক্ষি বাহিনী গঠন করে কারা মানুষ হত্যা করেছে তা এদেশের মানুষ জানে। যারা খালেদা জিযার বিচারের কথা বলছেন যদি খালেদা জিয়া নিদোর্শ প্রমানিত হয় তাহলে ভবিষ্যতে তাদের বিচার করা হবে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আব্দুল মালেকের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মনির খানের পরিচালনায় ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভিসি আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সদরুল আমিন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানাউল্লা মিয়া, নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিক শিকদার প্রমুখ।