বার্তা৭১ ডটকমঃ বেসরকারি আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই শিক্ষক মাহফুজুর রশিদ ফেরদৌসের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির মামলায় চার্জগঠন করেছে ট্রাইব্যুনাল।
বৃহস্পতিবার ঢাকার ২ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মাদ সফিউল আজম এ আসামির অব্যাহতির আবেদন নামঞ্জুর করে চার্জগঠনের এই আদেশ দেন।
একই সঙ্গে আসামি অভিযোগ অস্বীকার করায় আগামী ১৫ নভেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন বিচারক। শুনানিকালে কারাগারে থাকা মাহফুজুর রশিদকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
এর আগে গত ২৭ অক্টোবর চার্জ শুনানির পর ৩ নভেম্বর আদেশের জন্য দিন ধার্য করা হয়। আসামি পক্ষে মিজানুর রহমান মোল্লা অব্যাহতির এবং বাদী পক্ষে জিয়াদ আল মালুম ও মহিলা আইনজীবী সমিতির আইনজীবী ফাহমিদা আক্তার চার্জগঠনের পক্ষে শুনানি করেন।
এর আগে গত ৩০ জুলাই নারী সাহায়তা ও তদন্ত বিভাগে কর্মরত পুলিশের এসআই আফরোজ আইরীন কলি আসামি মাহফুজুর রশিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।
২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমর আইনের ৯ এর ৪ (খ) ধারায় শিক্ষার্থীদের ধর্ষণের চেষ্টা এবং ১০ ধারায় যৌন নিপিড়নের অভিযোগে এবং ২০১২ সালের পন্যোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের ৮ ধারা ও ১৯৮০ সালের পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) আইনের ৯ (খ) ধারায় এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় ওই চার্জশিট দাখিল করা হয়।
চলতি বছর ৪ মে দিবাগত রাতে আহসানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের সহকারী ওই অধ্যাপককে তার নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন ৫ মে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। রিমান্ড শেষে ৭ মে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, গত ৩০ এপ্রিল যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলে ক্লাস বর্জন করে আন্দোলন শুরু করে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। আকস্মিক আন্দোলনে স্থবির হয়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়। তৎক্ষণাৎ বৈঠকে বসে অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখান্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কর্তৃপক্ষের ঘোষণাকে প্রত্যাখান করে চার দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। বেশ কয়েক বছর ধরে মৌখিক ও লিখিত অভিযোগ করে আসছিলেন নিপীড়নের শিকার শিক্ষার্থীরা। শিক্ষকের দাপটে সব মিলিয়ে যাচ্ছিল। নিপীড়নের শিকার ছাত্রীদের বেদনা অব্যক্তই থেকে যায়। তবে শেষ রক্ষা হল না দাপুটে শিক্ষক মাহফুজুর রশিদ ফেরদৌসের। এই অভিযোগে গত ৪ মে রাতে আসাদদৌলাহ আল সায়েম নামে এক শিক্ষার্থী নারী ও শিশু নির্যাতন মদন আইনের ১০ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।