বার্তা৭১ ডটকমঃ
মালয়েশিয়ার সমুদ্রতীরের পোর্ট ডিকসনের জিমাহ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৭৬৭ বাংলাদেশীসহ ৯৩৬ জনকে আটক করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন পুলিশ। পুলিশের দাবি, এরা অবৈধ অভিবাসী। রবিবার দিনভর এ অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বারনামার এ খবর জানানো হয়।
আটকদের মধ্যে ৭৬৭ বাংলাদেশী ছাড়া পাকিস্তানের ৮০ জন, ভারতের ৫০, ইন্দোনেশিয়ার ২২, শ্রীলঙ্কার ১৩, মিয়ানমারের তিন এবং নেপালের একজন নাগরিক রয়েছেন।
নেগারি সিম্বিলানের ইমিগ্রেশন পরিচালক হাপজান হোসেনি বলেন, অভিযান শেষ হয় রাত ১০টায়। বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে এসব অবৈধ অভিবাসীকে আটক করা হয়। আটক সবার বয়স ২০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে বলেও জানান তিনি।
হাপজান হোসেনি আরো বলেন, ‘আটক হওয়া এসব অবৈধ অভিবাসীর কাছে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করার বৈধ কাগজপত্র ছিল না। তারা সবাই নির্ধারিত সময়ের পরও মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছিলেন। মালয়েশিয়ায় অবৈধভাবে বসবাসরত বিদেশী শ্রমিকদের বৈধ হওয়ার জন্য রি-হায়ারিং কর্মসূচি চালু হয়েছিল। কিন্তু খুব কম সংখক অবৈধ অভিবাসী এই কর্মসূচির আওতায় এসেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশনের পক্ষ থেকে অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে বিশেষ অভিযান শুরু করে।’
মালয়েশিয়া বাংলাদেশের জনশক্তি রফতানির অন্যতম বড় বাজার। বর্তমানে বিভিন্ন পেশায় প্রায় ছয় লাখ বাংলাদেশী সেখানে রয়েছেন। তবে আরো বহু বাংলাদেশী অবৈধভাবে সেখানে পাম বাগান, নির্মাণসহ বিভিন্ন খাতে স্বল্প মজুরিতে কাজ করছেন বা দালালের খপ্পরে পড়ে শ্রম দিতে বাধ্য হচ্ছেন।
এর আগে চলতি বছর ২০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশীসহ ৯৭১ জন বিদেশি নাগরিককে আটক করা হয়। এরপরও বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় অবস্থানের অভিযোগে বহু বাংলাদেশী আটক হয়েছেন।