বার্তা৭১ ডটকমঃ
এক সময় পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে হতো। তখন বিবাহ বিচ্ছেদ হতো না বললেই চলে। আর এখন মানুষ একে অপরকে ভালোবেসে বিয়ে করার পরও কেনো অনেকে একসাথে সংসার করতে পারে না? অনেকের মনেই প্রতিনিয়ত হয়তো এই প্রশ্ন জেগে ওঠে। তাহলে কোথায় হচ্ছে সমস্যা? সফল বৈবাহিক জীবনযাপনের জন্য কী করা উচিত?
সংসার দুজনেরই: বিয়ে, ভালোবাসা কখনো এক পক্ষ থেকে তো হয় না। হলে সেটা বেশি দূর গড়ায় না। সংসারে স্বামীর যতোটা প্রয়োজন ঠিক ততটাই প্রয়োজন স্ত্রীর। দুজনের মধ্যে ভালো বোঝাপড়া থাকতে হবে। কেউ অপর জনকে অসম্মান বা অবহেলা করবেন না।
অহংকার: বেশির ভাগ বিবাহ বিচ্ছেদের মূল কারণ অহংকার বা ইগো (Ego) ‘ও আমাকে এরকম কেনো বলল?’ ‘আমি কি ওর পা চাটা গোলাম?’ এরকম চিন্তা কখনোই মাথায় রাখা যাবে না। একে অপরের পরম বন্ধু হওয়ার চেষ্টা করুন।
তুলনা: কখনোই মায়ের সাথে বউ এর বা বাবার সাথে স্বামীর তুলনা করবেন না। অথবা অন্য কারো সাথে তুলনা করবেন না। আপনার সঙ্গীর মধ্যে অনেক খুঁত থাকতে পারে, কিন্তু হয়তোবা তার থেকে বেশি আপনাকে আর কেউ ভালবাসতে পারবে না।
আপন সত্তা বিকিয়ে আপস নয়: সংসারে একে অপরের পাশাপাশি থাকতে হলে কখনো কখনো আপস করে চলতে হয়; তবে কখনোই নিজের সত্তা বিকিয়ে দিয়ে আপসে যাওয়া উচিৎ নয়। এতে আপনার দুর্বলতা ও ব্যক্তিত্বহীনতার প্রকাশ পায়। এভাবে বেশিদিন স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে সংসার করা সম্ভব হয় না।
কথা বলুন: একে অপরের সাথে কথা বলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেকোনো অভিযোগ নিজের ভিতর চেপে না রেখে বলে ফেলা উচিৎ। আপনি না বললে আপনার সঙ্গী জানবে কীভাবে যে আপনার মধ্যে কী চলছে?
গোপনীয়তা: স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কোনো কিছু গোপন রাখা ঠিক নয়। তাই বলে একে অপরকে সব সময় চোখের সামনে থাকতে হবে সেটাও নয়।
যৌনসঙ্গম: সংসার জীবনে শারীরিক এবং মানসিক উভয় দিকে ভালবাসার প্রয়োজন থাকে। এর মধ্যে যেকোনো একটির অভাবে বিবাহ বিচ্ছেদ হতে পারে।
রাগ পুষে রাখা: ঝগড়া না মিটিয়ে পুষে রাখলে মনের মধ্যে খারাপ ভাবনাগুলো জমতে জমতে এক দিন বিস্ফোরণ ঘটায়। কথা বলে সব ঠিক করে নেওয়াই উত্তম। তবে কথা বলার সময় মাথা ঠাণ্ডা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বাস্তববাদী হোন: ভালবাসা স্বর্গীয় হলেও সেটা টিকিয়ে রাখার জন্য আপনাকে স্বপ্নের জগৎ থেকে বেরিয়ে বাস্তবে এসে ভালবাসতে হবে। নইলে বাস্তব যখন কড়া নাড়ে তখন পরিণতি হয় ভয়াবহ।
সিদ্ধান্ত নেয়া: সংসারের বড় ছোট যেকোনো সিদ্ধান্ত একা নিবেন না। অন্তত আপনার সঙ্গীকে আপনার সিদ্ধান্তের ব্যাপারে অবগত রাখবেন।
মিথ্যা: মিথ্যার উপর কোন সম্পর্ক বেশিদিন টিকতে পারে না। মিথ্যা বলবেন না,, মিথ্যাকে প্রশ্রয় দেবেন না।
প্রশংসা করা: আপনার সঙ্গীর ভাল কাজের সুনাম করুন এবং খারাপ কাজগুলো করতে নিষেধ করুন।
তৃতীয় পক্ষ: আপনাদের দাম্পত্য জীবনের একান্ত কথা তৃতীয় কোনো পক্ষ যেন না জানে। আপনার সংসার আপনাদের দুই জনের একান্ত ব্যক্তিগত জীবন। এখানে তৃতীয় পক্ষ কখনোই কাম্য নয়।