ডিসিসিআই সভাপতি আসিফ ইব্রাহীম পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতকে বলেছেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ঐতিহ্যগত, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও বাণিজ্য সম্পর্ক বিদ্যমান। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ডব্লিউটিও, সার্ক, সাপটা, সাফটা, জিএসটিপি, ওআইসি, ডি ৮-এর সক্রিয় সদস্য। ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্য পরিমাণ আশানুরূপ নয়। তিনি বিদ্যমান বাণিজ্য পরিমাণ বৃদ্ধির ওপর জোর দেন। গতকাল বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত আফরাসিয়াব ডিসিসিআই সভাপতি আসিফ ইব্রাহীমের সঙ্গে ডিসিসিআইতে এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন। বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ে এসব আলোচনা হয়। ডিসিসিআই পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। ডিসিসিআই সভাপতি পাকিস্তানের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত বিভিন্ন সুযোগ গ্রহণ করে এদেশের টেক্সটাইল, কৃষিভিত্তিক শিল্প, জাহাজ নির্মাণ ইত্যাদি খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। ডিসিসিআই সভাপতি করাচি-চট্টগ্রাম ফেরি সার্ভিস পুনরায় চালু করার ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করার আহ্বান জানান। বাংলাদেশে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত আফরাসিয়াব বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ। তিনি দু’দেশের মধ্যে সংস্কৃতি, ধর্ম, খাদ্যাভ্যাস ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে প্রচুর মিল রয়েছে বলে মন্তব্য করেন। তিনি পাকিস্তানের অমিত অর্থনৈতিক সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে এ দেশের ব্যবসায়ীদের পাকিস্তানে নিট টেক্সটাইল, ওষুধ ও চামড়া শিল্পে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। তিনি সার্কভুক্ত দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য সম্ভাব্য সকল সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস প্রদান করেন।