ঢাকা, ১৪ মে: আগামী ২০ মে ঢাকাসহ সারাদেশে গণঅনশন, ২৩ মে জেলা উপজেলায় স্মারক লিপি আর ২৭ মে সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে ১৮ দলীয় জোট। ১৮ দলীয় জোটের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের একথা জানান এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল অব. অলি আহম্মেদ।
কর্নেল অলি বলেন, “২০ মে সকাল দশটা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সারা দেশের জেলা উপজেলা ও ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে গণঅনশন পালন করা হবে।”
তিনি বলেন, “কৃষি উপকরণের মূল্যবৃদ্ধি ও কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্যের দাবিতে, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ সংকট, সরকারের দুর্নীতি, সরকার দলীয় ক্যাডারদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, চাঁদাবাজির প্রতিবাদে সারা দেশে জেলায় জেলা প্রশাসক উপজেলায় ইউএনও বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হবে।”
কর্নেল অলি বলেন, “নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি ও ইলিয়াস আলীকে ফেরত দেয়ার দাবিতে ২৭ মে সারা ঢাকাসহ সারা দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিক্ষোভ করবে ১৮ দলীয় জোট।”
এর আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের বৈঠক শেষে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আগামী ১৬ মে জোট নেতারা বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন। ওইদিন সরকারের আচরণের ওপর নির্ভর করবে পরবর্তী কর্মসূচি।
গত ২৯-৩০ এপ্রিল হরতাল চলাকালে গাড়ি পোড়ানো ও সচিবালয়ে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় ১৮ দলীয় জোটের সিনিয়র নেতাসহ ৬৪ জনের নামে দু’টি মামলা দায়ের করে শাহবাগ থানা ও তেজগাঁও থানা।
তেজগাঁও থানার মামলায় ইতোমধ্যেই আদালতে চার্জশিট দিয়ে আসামিদের গ্রেফতারের আবেদন জানিয়েছে পুলিশ। ওই মামলায় উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন করলে ১৬ মে’র মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয় আদালত।
অন্যদিকে শাহবাগ থানার মামলায় চার্জশিট না দেয়া পর্যন্ত নেতাদের জামিন দেন উচ্চ আদালত।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আর এ গনি, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, লে. জেনারেল অব. মাহবুবুর রহমান, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, সারোয়ারি রহমান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অব. আসম হান্নান শাহ, মির্জা আববাস, ড. আবদুল মঈন খান, রফিকুল ইসলাম মিয়া ও নজরুল ইসলাম খান।
এদিকে ১৮ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর মহানগরী নায়েবে আমির হামিদুর রহমান আযাদ এমপি, বিজেপি’র চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিভ রহমান পার্থ, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব আবদুল লতিফ নেজামী, এলডিপি’র চেয়ারম্যান কর্নেল অব. অলি আহম্মেদ বীর বিক্রম, খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অব. সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, জাগপা’র চেয়ারম্যান শফিউল আলম প্রধান, এনপিপি’র চেয়ারম্যান শেখ শওকত হোসেন নীলু, এনডিপি’র চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মোর্তুজা, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ ন্যাপ’র চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি, মুসলিম লীগের নির্বাহী সভাপতি এএইচএম কামরুজ্জামান খান, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান শেখ আনোয়ারুল হক, ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবদুল মোবিন, ডেমোক্রেটিক লীগের সাইফুদ্দিন মনি, জমইয়তে ওলামায়ে ইসলামের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মহিউদ্দিন ইকরাম, পিপলস লীগের সভাপতি গরীব নেওয়াজ।
রাত সোয়া নয়টা থেকে দশটা পর্যন্ত স্থায়ী কমিটির ও রাত দশটা থেকে সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত ১৮ দলীয় জোটের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেণ খালেদা জিয়া।