বিশ্ববিদ্যালয়ের বাড়তি শিক্ষা ফি ও জীবনযাত্রার ব্যয় সামাল দেয়ার জন্য ব্রিটেনে বিপুলসংখ্যক ছাত্রী পতিতাবৃত্তির মতো জঘন্য পথ বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছে বলে ডেইলি মেইল পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ছাত্রদের সংগঠন ন্যাশনাল ইউনিয়ন অব স্টুডেন্টস বা এনইউএস হুশিয়ার করে দিয়ে বলেছে, শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষার ব্যয় মেটাতে শুধু পতিতাবৃত্তি নয়, জুয়া ও অন্যান্য বিপজ্জনক পথেও পা বাড়াচ্ছে।
সরকারের সংস্কারের কারণে আগামী বছর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বার্ষিক ৯ হাজার পাউন্ড ফি আরোপ করতে পারবে। তা ছাড়া ১৬ থেকে ১৯ বছরের শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা পরিচালনা-ভাতা বা ইএমএ বাতিল করা হয়েছে।
এনইউএস বলেছে, এসব সংস্কারের কারণেই অর্থ জোগাড় করতে শিক্ষার্থীরা অনৈতিক পথে পা দিতে বাধ্য হচ্ছে। এনইউএসের জাতীয় নারী কর্মকর্তা ইস্টেল হার্ট বলেন, শিক্ষার্থীরা আরো বিপজ্জনক পদক্ষেপ নিচ্ছে। শিক্ষায় টিকে থাকার জন্যই তারা এসব বিপজ্জনক কাজে জড়াচ্ছে। এনইউএস আরো বলেছে, অশ্লীল নৃত্যের ক্লাবগুলোতে কর্মরত নারীদের বিশ শতাংশই ছাত্রী।
ক্লেয়ার (প্রকৃত নাম নয়) নামের এক ছাত্রী বলে, সরকার শিক্ষা-ভাতা বন্ধ করে দেয়ার পর আমার পড়াশোনা বন্ধ হওয়ার উপক্রম। আমি ক্লাসের সময় ঠিক রেখে বাকি সময় একটি চাকরির জন্য অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হই। অর্থ সংগ্রহে শেষ পর্যন্ত আমি বন্ধুদের পরামর্শে অনৈতিক পথে পা বাড়াতে বাধ্য হয়েছি।