বার্তা৭১ ডটকমঃ রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে দ্বিতীয় দিনে টিকেট প্রত্যাশীদের লাইন প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে বাইরে চলে গেছে। আজ শুক্রবার ১৪ জুলাইয়ের টিকেট দেয়া হচ্ছে। সকাল ৯টা থেকে ঈদের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হয়েছে। বৃষ্টিতে ভিজে ট্রেনের অগ্রিম টিকেটের জন্য অপেক্ষা করছেন ঈদে বাড়ি যেতে প্রত্যাশী শত শত মানুষ।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হয়। শুক্রবার দ্বিতীয় দিনে ভিড় আরো বেশি।
টিকেট পেতে বৃহস্পতিবার রাতে অনেকে এসেছেন স্টেশনে। সারা রাত স্টেশনেই কাটিয়েছেন তারা। পেপার বিছিয়ে ঘুমিয়ে, তাস খেলে, টিভি দেখে সময় কাটিয়েছেন। কেউ আবার খুব ভোরে চলে এসেছেন।
প্রসঙ্গত, আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে টিকেট বিক্রি শুরু হয়। চলবে ১৩ জুলাই পর্যন্ত। অগ্রিম টিকেটের ট্রেন ছেড়ে যাবে ১৪ থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত।
রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কমলাপুর রেলস্টেশনের ২০টি বুথের মধ্যে ১৪টি বুথে ট্রেনের আগাম টিকেট বিক্রি করা হচ্ছে।
এ ছাড়া ইন্টারনেট ও এসএমএসের মাধ্যমেও টিকেট কিনতে পারবেন যাত্রীরা। টিকেট প্রত্যাশীদের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় স্টেশনে পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
জানা যায়, ঈদ পরবর্তী সময়ে রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, দিনাজপুর ও লালমনিরহাট স্টেশন থেকে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় অগ্রিম টিকেট বিক্রি করা হবে। বিক্রি হবে ১৬ থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত এবং ফেরত আসবে ২০ থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত।
এ ছাড়া স্পেশাল ট্রেন পরিচালনা করবে ঈদের ৩ দিন আগে অর্থাৎ ১৫ জুলাই থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত এবং ঈদের ৫ দিন পরে অর্থাৎ ২০ জুলাই থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত (চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করবে)। ৫ জোড়া ও পবিত্র ঈদের দিন সোলাকিয়া স্পেশাল ২ জোড়া মোট ৭ জোড়া ট্রেন চলাচল করবে।
এদিকে আন্তঃনগর ট্রেনের জন্য সাপ্তাহিক ছুটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে ১৩ জুলাই থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে। অতিরিক্ত কোচ সংযোজন করা হবে পাহাড়তলী ওয়ার্কসপ থেকে ৮৬টি ও সৈয়দপুর ওয়ার্কশপ থেকে ৮৩টি মোট ১৬৯টি (১০৯টি মিটারগেজ ও ৬০টি ব্রডগেজ)। অতিরিক্ত ২৫টি ইঞ্জিন সরবরাহ করা হবে।